ঈদের পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে বড় ধরনের রদবদল আসতে পারে। অন্তত ২৩ জেলায় এই পদে পরিবর্তন করা হতে পারে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই রদবদল।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই পদে নিয়োগের জন্য ২৮তম বিসিএস কর্মকর্মতাদের ফিটলিস্ট করা হচ্ছে। কোনো জেলার জেলা প্রশাসককে সাধারণত ২ থেকে ৩ বছর রাখা হয়। অনেক জেলায় এই পদে আড়াই থেকে ৩ বছর অনেক কর্মকর্তা কর্মরত আছেন।
বর্তমানে ডিসি পদে ৬৪ জেলার মধ্যে ২৪তম বিসিএসের ২৩ জন, ২৫ ব্যাচের ১৯ জন ও ২৭ ব্যাচের ২২ কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ২৪ ব্যাচের বেশিরভাগ কর্মকর্তারই মেয়াদ শেষ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির সময় হয়েছে। তাই তাঁদের ঈদের পর সরিয়ে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কয়েকটি জেলায় ডিসি পদে রদবদলও হবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, ২৪তম বিসিএসের কর্মকর্তাদের এক বছরের মধ্যে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি হবে। তবে যারা খুবই ভালো পারফর্মেন্স করছে বা খুবই এসেনসিয়াল সেটা বাদে আমরা অন্যদের সরিয়ে নেব। কিন্তু সাধারণত দুবছর হলেই আমরা ডিসি পদ থেকে সরিয়ে আনি।
মন্ত্রী জানান, বিসিএসের ২৫ এবং ২৭ ব্যাচ থেকে কয়েকজনকে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ২৮ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ফিটলিস্ট তৈরি হচ্ছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ২৭ ব্যাচ থেকে ডিসি পদে অল্প কিছু নিয়োগ পেয়েছে। সেক্ষেত্রে ২৭ ব্যাচ এখনও ফিটলিস্টেড হয়ে আছে, তাদের থেকে ডিসি পদে আসবে। এরপর বিসিএসের ২৮ ব্যাচ আসবে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিসি পদে ফিটলিস্টের জন্য সৎ, নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মকর্তাদের বাছাই করা উচিত।
সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার আগে এক্সপার্ট টিম দিয়ে ইন্টারভিউ করা দরকার। এই এক্সপার্ট টিমে রাজনীতিবিদেরাও থাকতে পারে। এক্সপার্ট টিম খতিয়ে দেখবে যে, এই পদে যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে তারা কীভাবে সাধারণ জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। আর বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন, মিডিয়ায় কিভাবে কথা বলতে হয় সেটা জানা লোক এই পদে দরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলছে, মাঠ প্রশাসনে ২ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা, গ্রুপ ডিসকাশন ও মৌখিকসহ নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পাঠকের মতামত